মিরপুর জাতীয় সুইমিং পুল
প্রথমবারের মতো নারীদের ৩টি ডাইভিং ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত করে শুরু হতে যাচ্ছে ৩৪তম জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতা। আগামী ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর মিরপুরে জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে হতে যাওয়া এ প্রতিযোগিতায় বরাবরের মত এবারও পৃষ্ঠপোষকতা করছে ম্যাক্স গ্রুপ।
প্রতিযোগিতা হবে মান্ধাতার আমলের হ্যান্ড-টাইমিংয়ের ওপর ভর করেই। ২০১৯ সালে মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড স্থাপন করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। তবে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সেটি অকেজো হয়ে পড়ে। এ নিয়ে এনএসসিকে একাধিক চিঠি দিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন।
এবারের প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ আনসারসহ মোট ৬৭টি টিম অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৫১৬ জন পুরুষ ও ৭৯ জন নারী সাঁতারু, ১০৫ জন টিম অফিসিয়াল এবং ১২০ জন মিট অফিসিয়ালসহ সর্বমোট ৮১৬ জন অংশ নিচ্ছেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়াটিকসের ইভেন্ট অনুযায়ী এ প্রথমবার পুরুষ বিভাগে ৮০০ মি. ফ্রি স্টাইল, মহিলা বিভাগে ১৫০০মি. ফ্রি স্টাইল এবং ৪১০০ মিক্সড ফ্রি স্টাইল রিলে (পুরুষ ও মহিলা) এবং ৪ ১০০ মিক্সড মিডলে রিলে (পুরুষ ও মহিলা) ইভেন্টগুলো জাতীয় সাঁতারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন ইভেন্টগুলোসহ সাঁতারে (পুরুষ-২০টি, নারী-২০টি ও মিক্সড রিলে- ২টি) মোট ৪২টি ইভেন্ট, ডাইভিংয়ে (পুরুষ-৩টি, নারী-৩টি) মোট ৬টি ইভেন্ট এবং ওয়াটার পোলোসহ সর্বমোট ৪৯টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ ২৫ লাখ টাকা প্রদান করছে এবং বাকি টাকা ফেডারেশন বহন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন জানান, এবার বিজয়ীদের মেডেলের পাশাপাশি আর্থিক পুরস্কারও দেয়া হবে। স্বর্ণজয়ী সাঁতারু ২ হাজার টাকা, রৌপ্যজয়ী সাঁতারু ১ হাজার টাকা এবং ব্রোঞ্জজয়ী সাঁতারু ৫০০ টাকা পাবে। এছাড়া প্রতিটি জাতীয় রেকর্ডের জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
আসন্ন এসএ গেমস সামনে রেখে প্রস্তুতি সম্পর্কে মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, মিশরীয় কোচের অধীনে আমাদের পুরোদমে অনুশীলন চলছে। সাঁতারুরা বলছে এ কোচের অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে পেরে তারা অনেক উপকৃত হচ্ছে। এ কোচ দীর্ঘ সময় থাকলে সাঁতার তার হারানো জায়গায় ফিরে যাবে। তার চুক্তির মেয়াদ জানুয়ারি পর্যন্ত, তবে সাঁতারের ভালোর জন্য তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো দরকার।
জাতীয় সাঁতার এবারও হ্যান্ডটাইমিংয়ে হচ্ছে। স্কোর বোর্ড সচল নিয়ে আর আশাবাদী নয় ফেডারেশন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
