 
										ফাইল ছবি
নামাজের নিয়ত নিয়ে অনেকের মাঝে বিভ্রান্তি আছে। অনেকে মনে করেন, আরবিতে নিয়ত করতে হবে। আবার কেউ বলেন, বাংলায় করলেও চলবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আমলের বিশুদ্ধতা বা আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারি, হাদিস: ১; মুসলিম, হাদিস: ৪৮২১)
এ হাদিস অনুযায়ী বুঝা যায়, নামাজের জন্য আরবি বা মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়, বরং অন্তরের সংকল্পই যথেষ্ট। কোনো ওয়াক্তের (ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব নাকি এশার), কত রাকাত (দুই, তিন নাকি চার), কি নামাজ (ফরজ, ওয়াজিব নাকি সুন্নত), কীভাবে (একাকী নাকি ইমামের পেছনে জামাতে) পড়ছেন- মনে মনে তার নিয়ত করতে হবে।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, তাদেরকে এ ছাড়া কোনো নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে। (সুরা বাইয়িনাহ, আয়াত: ৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ নেক কাজ ও গুনাহের কাজ লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি নেক কাজ করার ইচ্ছা করে, কিন্তু এখনো তা বাস্তবে আমল করেনি। আল্লাহ তার জন্য তার কাছে একটি পরিপূর্ণ নেকি লিপিবদ্ধ করেন। আর যদি সে নেক কাজ করার ইচ্ছা করে এবং তার ওপর আমল করে তা হলে আল্লাহ তার কাছে ১০ থেকে ৭০০ গুণ বা আরও বেশি বাড়িয়ে নেকি লিপিবদ্ধ করেন। যদি সে গুনাহের কাজের ইচ্ছা করে এবং তা বাস্তবে পরিণত না করে, তবে আল্লাহ তার কাছে একটি পরিপূর্ণ নেকি লেখেন। আর যদি সে গুনাহের ইচ্ছা করে এবং কাজে পরিণত করে, আল্লাহ একটিমাত্র গুনাহ লিখে রাখেন। (বুখারি, হাদিস: ৬৪৯১)
আপন দেশ/কেএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































