
ছবি: আপন দেশ
জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে ডাবল স্ট্যান্ড বাজি করছেন। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আজকে কিছু দল বলছে—নির্বাচন পেছাতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন পেছাতে হবে? মানুষের চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার কি সম্ভব হয়নি? তাহলে হঠাৎ নির্বাচনকে কেন টার্গেট করা হচ্ছে? একদিকে বলছেন নির্বাচন পেছাতে হবে, আবার অন্যদিকে মনোনয়ন দিচ্ছেন—এটাই তো দ্বিচারিতা, ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।
রোববার (০৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, যারা জনগণের অনুভূতি বোঝে না, তারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছে। তারা ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার সঙ্গে গিয়েও এরশাদের মতো একজন স্বৈরাচারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জনগণের মূল্যবোধকে তারা কখনো গুরুত্ব দেয়নি। সব সময় নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়ে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন নির্বাচন হলে দুই-তিনটির বেশি আসন তারা পাবে না। তারা কখনো অঙ্গীকার রক্ষা করেনি, যা বেগম জিয়া ও তারেক রহমান করেছেন।
কারবালার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ইমাম হোসেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আজ যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলেন, তাদের আচরণে সে শিক্ষা দেখা যায় না। কিছুদিন আগে বললেন নির্বাচনের পরিবেশ নেই, এখন বলছেন নির্বাচন পেছাতে হবে—এ দ্বৈত বক্তব্য জনগণের মনে প্রশ্ন তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে গত ১৫-১৬ বছরে গণতন্ত্রের জন্য বহু মানুষ প্রাণ দিয়েছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। মানুষ বছরের পর বছর বন্দি থেকেছে। অনেকের লাশ খাল-বিল-নালায় পাওয়া গেছে। এ সময়টা ছিল একপ্রকার ইয়াজিদি শাসনের মতো দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। মানুষ তার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। এ চর্চাই প্রকৃত গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পেছানোর দাবি কি কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে? নাকি শুধুই ইমেজ রক্ষার জন্য? নির্বাচন একটি সময়ের ব্যাপার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা আশা করি, তারা কাউকে বাড়তি সুবিধা দিতে গিয়ে সময় বাড়াবেন না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল হক জামাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, যুবদল নেতা ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।