
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির উদ্যোগে মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণে আয়োজিত গণ সমাবেশ উপলক্ষে গোলটেবিল বৈঠকে রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব ইতোমধ্যেই নদ-নদীর অবস্থার অবনতি ঘটাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির উদ্যোগে মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণে আয়োজিত গণ সমাবেশ উপলক্ষে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দিল্লির কাছে আত্মনিবেদন করেছিলেন, যেখান থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। এ প্রকল্পের বর্জ্য নদীতে পড়ছে, নদীগুলোর পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এর ফলে আমরা ধীরে ধীরে ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছি।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললেই অনেকের কাছে তা অপ্রগতিশীলতা হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি বলেন, একটা স্টাইল হয়ে গেছে—যদি কেউ ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বলে, তবে তাকে পশ্চাৎপদ মনে করা হয়। এ মাইন্ডসেট পরিকল্পিতভাবে চালানো হচ্ছে। আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী ও সামাজিক মহলে এ প্রবণতা প্রবলভাবে রয়েছে।
রিজভী বলেন, ভারতের আগ্রাসন ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে একসময় বামপন্থীরা সোচ্চার থাকলেও এখন আর তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। অথচ এদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এমন অবস্থান জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ফারাক্কা বাঁধ চালুর বিষয়ে শেখ মুজিবকে বলা হয়েছিল এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। তিনি অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাই ছিল বাংলাদেশের জন্য চূড়ান্ত সর্বনাশের সূচনা। এরপর ভারত আর বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেনি।
রিজভী বলেন, ন্যাশনাল ইন্টারেস্টে যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মাওলানা হামিদ খান ভাসানী, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কথা বলেছেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য বক্তারাও বক্তব্য দেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।