
জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ (০১ সেপ্টেম্বর) । ১৯১৮ সালের এদিনে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন এ বীর সেনানী।
জেনারেল ওসমানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওসমানীর পিতৃভূমি সিলেটে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টায় ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুস্পস্তবক অর্পণ, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা।
এছাড়া বঙ্গবীর ওসমানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতিসংসদ সিলেট-এর পক্ষ থেকে সোমবার বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার সংলগ্ন মসজিদে খতমে কোরআন, বাদ আসর মিলাদ মাহফিল ও দোয়া শেষে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আরওপড়ুন<<>>বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন ওসমানী।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌযোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন এ বীর সেনানী।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।