Apan Desh | আপন দেশ

ড্রইং রুম সাজানোর যত টিপস

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ১০ জুন ২০২৪

ড্রইং রুম সাজানোর যত টিপস

ছবি : সংগৃহীত

বাসার মধ্যে ড্রইং রুমের সজ্জাটা আরামদায়কের পাশাপাশি আমন্ত্রণমূলক হওয়া দরকার। অতিথি বা পরিবারের সবাই মিলে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো এই ঘরেই বেশি ঘটে। আরামদায়ক সোফা, দেয়ালের রং কিংবা পর্দা- সব কিছুর মধ্যে সমাঞ্জস্য না থাকলে দাম যাই হোক- সেগুলো দেখতে বেমানান লাগবে।

একটি লক্ষণীয় জায়গা রাখা

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডাকোটা স্টুডিও’র দুই অন্দরসজ্জাকর শন ও টিনা টেইলর মনে করেন- প্রত্যেকটা ড্রইং রুমে একটি লক্ষণীয় জায়গা বা ‘ফোকাল পয়েন্ট’ থাকা উচিত। “হতে পারে সেটা কোনো দারুণ কোনো দর্শনীয় বস্তু বা কোনো শিল্পকর্ম; এই ঘরে ঢুকেই এই ‘ফোকাল পয়েন্ট’য়ে সবার আগে নজরে আসবে। যা সোফা বা কুশনে বসার ক্ষেত্রে আরাম দেবে।” – রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা বলেন শন টেইলর।

তবে লস অ্যাঞ্জেলেস ভিত্তিক অন্দরসজ্জার প্রতিষ্ঠান ‘আর্টারবেরি কুক’যের ব্যারেট কুক বলেন, “অবশ্যই ‘ফোকাল পয়েন্ট’য়ের জায়গটা টেলিভিশন হবে না। কারণ এই যন্ত্র উপভোগ করার আরও ঘর রয়েছে।”

রংয়ের গল্প

সুন্দর অন্দরসজ্জার জন্য রংয়ের সামঞ্জস্য রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে টেইলর ৬০-৩০-১০ পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “৬০ শতাংশ হবে প্রধান রং, ৩০ শতাংশ হবে মধ্যম প্রকৃতির আর ১০ শতাংশ থাকবে হালকা শেড।” যেমন- দেওয়াল বা সোফার রংয়ের উজ্জ্বলতা ৬০ শতাংশ হলে ৩০ শতাংশ হবে কার্পেট বা গালিচা আর ১০ শতাংশ হবে সাজসজ্জার উপকরণ।

বসার নানান ব্যবস্থা

ড্রইং রুমে যেহেতু বেশিরভাগ সময় বসেই কাটানো হয় সেহেতু নানান ধরনের বসার ব্যবস্থা রাখা উচিত। শন টেইলর বলেন, “হতে পারে আপনার একটা ভালো সোফা আছে। সাথে আরও কিছু আরামদায়ক মোড়া, চেয়ার রাখতে পারেন। ফলে ঘরে যেই ঢুকুক সে তার পছন্দমতো আসন বেছে নিতে পারবেন।”

গালিচা

গালিচা শুধু বসার জায়গার স্থানই নির্দিষ্ট করে দেয় না, ভালো মানের একটি কার্পেট বা গালিচা পায়ের তলায় আরামও দেয়। লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যালিফোনিয়া’র ‘ফ্রান্সেসকা গ্রেস হোম’য়ের অন্দরসজ্জাকর ফ্রান্সেসকা গ্রেস বলেন, “ভালোমানের গালিচা বা কার্পেট আভিজাত্যের অনুভূতি দেয়।” তবে গালিচার মাপের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। সোফা বা মাঝের টেবিল অনুযায়ী কার্পেট যেন সঠিক মাপের হয়।

আলোকসজ্জা

যথেষ্ট পরিমাণে বাইরের আলো ভেতরে ঢোকার ব্যবস্থা থাকলেও ড্রইং রুমে আলাদা আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে রাতের জন্য এটা প্রয়োজনীয়। “ঘরের কার্যকারিতা ও পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে আলো জরুরি। টেবিল ল্যাম্প, স্পট লাইট, স্ট্যান্ড লাইট, ওভারহেড লাইটিং- ইত্যাদির সমন্বয়ে আলোকসজ্জা করলে মনের ওপরেও প্রভাব রাখে। ঘরের প্রধান উপাদানগুলো গুরুত্বপূর্ণ করতে আলাদা আলোর ব্যবস্থা করা যায়- বলেন টিনা টেইলর।


আপন দেশ/এফএআর
 

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়