
ফাইল ছবি
দেশের ২১৮টি দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) আদালত রিটের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে ২১৮ আবেদনকারীর নিয়োগ প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাদের সহযোগিতা করেন আইনজীবী নাঈম সরদার, জাওয়াদ আহমেদ সিকদার গুলজার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান।
রায়ের বিষয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, মাদরাসাগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনটিআরসির বিধান প্রয়োগের পূর্বে যেহেতু আবেদনকারীরা চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন সেহেতু এসব পদে এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ না করে গভর্নিং বডি পূর্বনিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। এরপর স্ব-স্ব মাদরাসার অধ্যক্ষরা বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিলে আবেদন করেন আবেদনকারীরা। দেশের বিভিন্ন মাদরাসায় নিয়োগ সম্পন্নও হয়েছে ইতোমধ্যে।
তবে ২০২১ সালের ১৮ জুলাই এ নিয়োগ সম্পন্ন করার পরিবর্তে পদ দুটি বাতিল করে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) ও গ্রন্থাগার প্রভাষক পদ সৃষ্টি করা হয়। এরপর ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে পদ দুটিতে (সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী) সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা দেয় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।