
ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহবানের পরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। দুই পক্ষের তীব্র গোলাবর্ষণে বেড়েছে নিহতের সংখ্যাও। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংঘাতে থাইল্যান্ডের অন্তত ১৫ জন এবং কম্বোডিয়ায় একজনের প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহবানে সাড়া দিয়ে কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছে। তবে সাড়া মিলছে না থাইল্যান্ডের তরফে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও বলেছেন, তার দেশ নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহবান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তার দেশ এ বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
থাইল্যান্ড এখনও কম্বোডিয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী আট জেলায় সামরিক আইন জারি করে থাইল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই শুক্রবার হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, এ সংঘাত যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। এতে এখন ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সীমান্তের ১২টি স্থানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকায় গুলি চালানোর অভিযোগও করেছে।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। বেসামরিক জনগণের উপর নির্বিচারে প্রভাব ফেলার কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ। থাইল্যান্ড এ অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।
এদিকে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন যে এ সংঘাতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনো প্রয়োজন নেই, যদিও বিশ্ব নেতারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।