
ফাইল ছবি
ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট)। ২০২৪ সালের এ দিনে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে। জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকে সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রাজপথে নরব ছিলেন তিনি, তুলে ধরেছেন জনগণের কণ্ঠস্বর।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এদিন সকালে ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টে তিনি লেখেন, আমি এ দিনটি চিরকাল মনে রাখব। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর সকাল—ভয় আর আশায় ভরা, কিন্তু সাহস আর অটল দৃঢ়তায় পূর্ণ ছিল। কী এক মুহূর্ত ছিল! কী এক অভিজ্ঞতা! এ দিনটা চিরদিনের জন্য আমার স্মৃতিতে খোদাই হয়ে গেছে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর আরেকটি পোস্ট দেন তিনি। তাতে তিনি জানান, ৫ আগস্টের দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো যেন তার জীবনের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত।
তিনি লেখেন, যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন—জনতার গর্জনে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তখন যে উল্লাস, যে বিস্ফোরণ জনতার মাঝে দেখা গিয়েছিল, তা আমি জীবনে কখনো দেখিনি। বাসায় বসে, অফিস থেকে বা শুধু সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে এ অনুভূতি বোঝা যাবে না। এটা বুঝতে হলে আপনাকে সেখানে থাকতে হতো।
তিনি আরও লেখেন, পুরো জাতি একসঙ্গে জেগে উঠেছিল। কেউ কেঁদেছে, কেউ হেসেছে, কেউ নেচেছে, কেউ স্লোগান দিচ্ছিল। বাতাসে ছিল স্বাধীনতার বিদ্যুৎ। সে মুহূর্তটাই আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি। আমি বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে গর্বিত। কী এক বিজয়! কী এক অসাধারণ সাফল্য!
উল্লেখ্য, আন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে নানা সময়ে রাজপথ ও অনলাইন মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে আজমেরী হক বাঁধনকে। সে স্মৃতিই এখন গর্বের অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে তার মনে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।