
ফাইল ছবি
টানা আট কর্মদিবসের ঊর্ধ্বমুখী ধারার পর শেয়ারবাজারে রোববার (২৭ জুলাই) মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় সূচক কিছুটা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট কমে দিনের লেনদেন শেষ করেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি স্বাভাবিক ‘কারেকশন’ বা মুনাফা তুলে নেয়ার ধাপ।
ডিএসইর তথ্য বলছে, গত আট দিনে প্রধান সূচক বেড়েছে ৩৩১ পয়েন্ট। এতে বাজারে নতুন করে আস্থার সঞ্চার ঘটে, যা বিনিয়োগ প্রবাহেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আজ দিনের শুরুতে সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শুরু করে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন। তবে দুপুরের পর কিছু বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলতে শুরু করলে সূচক পড়ে যায় প্রায় ৪৫ পয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে দিনের লেনদেন শেষ করে।
লেনদেনের দিক থেকেও আজ তুলনামূলক মিশ্রতা দেখা গেছে। ডিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৮৬৫ কোটি ৪ লাখ টাকার, যা আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের ৯৫১ কোটি ৭৮ লাখ এবং বুধবারের ৯৮৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার তুলনায় কিছুটা কম। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই হ্রাস অস্বাভাবিক নয়।
আজ ডিএসইতে ১১৭টি কোম্পানির শেয়ারদাম বেড়েছে, ২৩২টির কমেছে ও ৫০টি অপরিবর্তিত ছিল।
শুধু রাজধানী নয়, চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারেও আজ একই চিত্র। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পাঁচটি সূচকই কমেছে। এখানে ৮৩টি কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে, ১৪০টির কমেছে ও ২৪টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে সাম্প্রতিক ইতিবাচক ধারার পেছনে সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত, ভালো কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ভূমিকা রেখেছে। একদিনের সূচক পতন তাই তাদের চোখে বড় কোনো ধাক্কা নয়।
তাদের মতে, বাজারে যখন লাভের সুযোগ তৈরি হয়, তখন কিছু বিনিয়োগকারী স্বাভাবিকভাবেই মুনাফা তুলে নেন। একে বাজারের দুর্বলতা নয়, বরং একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর বাজারচক্র হিসেবে দেখা উচিত।
সব মিলিয়ে আজকের সূচক পতনকে অস্থায়ী ধাপ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, আগামী ২-৩ দিন বাজার কিছুটা মিশ্র থাকতে পারে। তবে বাজার আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলেই তাদের আশা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।