Apan Desh | আপন দেশ

শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখীতে মূলধনে যোগ হলো ২০ হাজার কোটি

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২৬ জুলাই ২০২৫

শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখীতে মূলধনে যোগ হলো ২০ হাজার কোটি

প্রতীকী ছবি

পতন থেকে বের হয়ে দেশের শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। সপ্তাহজুড়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেনের গতি। সে সঙ্গে বেড়েছে মূল্যসূচক। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় বাজার মূলধনের বড় উত্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা সাত সপ্তাহ শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়লো।

গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান। আর দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে সাড়ে আট’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সে সঙ্গে সাত সপ্তাহের টানা উত্থানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৬১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২১৫টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির। আর ১৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৭ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এর আগে গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।

আরও পড়ুন>>>শেয়ারবাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

সে সঙ্গে শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহের আগের ছয় সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৪০ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সাত সপ্তাহের টানা উত্থানে বাজার মূলধন ৬১ হাজার ২৩ কোটি টাকা বেড়ে গেছে। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্য সূচকেরও বড় উত্থান হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ২৫৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আগের ছয় সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৪৯৪ পয়েন্ট। এতে সাত সপ্তাহের টানা উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লো ৭৫৩ পয়েন্ট।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৫২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। আগের ছয় সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১০৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। এতে সাত সপ্তাহে সূচকটি বাড়লো ১৬১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।

আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৫৩ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের ছয় সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২০৭ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে আট সপ্তাহে সূচকটি বাড়লো ৩৬০ দশমিক ১৪ পয়েন্ট।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৭৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ২৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২৩ কোটি ৯ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ইনফিউশন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়