Apan Desh | আপন দেশ

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ৫ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১২:৫৬, ৫ অক্টোবর ২০২৫

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক চলছে

ছবি : আপন দেশ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন। এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।

রোববার (০৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য তৈরি করে কমিশন। এরপর সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের বৈঠক শুরু করে কমিশন। তিন দিন আলোচনা হলেও এখনও ঐকমত্য হয়নি।

সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মোটা দাগে ৬টি সুপারিশ পেয়েছিল কমিশন। সেগুলো হলো- পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তার কিছু অংশ নিয়ে গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন, ত্রয়োদশ সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন, সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এ মর্মে মতামত চাওয়া যে অন্তর্বর্তী সরকার এ সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি-না।

ইতোমধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব তুলে ধরেছিল কমিশন। সে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল- মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরপর আদেশটি নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন<<>>আজ ফের আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

এর আগে কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২৩ কার্যদিবসের আলোচনা শেষ হয় গত ৩১ জুলাই।

দুই একটি বাদে বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো। তবে সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা দ্বিমত তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি এ নিয়ে নিজেদের আলাদা মতামত তুলে ধরেছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে দলগুলোর কাছে একাধিকবার খসড়া পাঠানো হয়েছে। তারাও তাদের মতামত দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে কমিশন। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির পদ্ধতিগত বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এরই মধ্যে কমিশনের দ্বিতীয় দফা মেয়াদ শেষ হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। সে দিন রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হয়। যা বলবৎ থাকবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

আজকের বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়