Apan Desh | আপন দেশ

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিজয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১১:৪৬, ১ আগস্ট ২০২৫

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিজয়’

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনার পর হোয়াইট হাউস এ শুল্কহার ঘোষণা করে। শুল্কহার কমিয়ে আনাকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়।

তিনি বলেন, শুল্ক হার প্রত্যাশিতের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়নের প্রতি অটুট প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তারা নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন এবং শুল্ক, অশুল্ক বাধা ও জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ জটিল এক আলোচনার প্রক্রিয়া দক্ষতার সঙ্গে অতিক্রম করেছেন। তারা যে চুক্তিটি অর্জন করেছেন, তা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ধরে রেখেছে, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে এবং আমাদের মৌলিক জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ অর্জন শুধু বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না, বরং আরও বৃহত্তর সুযোগ। দ্রুততর প্রবৃদ্ধি এবং স্থায়ী সমৃদ্ধির দরজাও উন্মোচন করে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। আজকের এ সাফল্য আমাদের জাতির দৃঢ়তা ও আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির এক শক্তিশালী প্রমাণ।

এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এ হার উল্লেখ করা হয়। তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে কয়েক ডজন দেশের শুল্কের হার।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুরু হওয়া শুল্ক ও অশুল্ক বাধা, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যিক সুবিধা নিয়ে দীর্ঘ ও জটিল আলোচনার পর এ চুক্তি সই হয়। চুক্তির ফলে বাংলাদেশের পণ্য এখন বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হারে প্রবেশ করতে পারবে যা দেশের রফতানি বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়