
ফাইল ছবি
প্রবাদে আছে ‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’। জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে সৎ পথে চলাই উত্তম কাজ। কেননা সততার কোন বিকল্প নেই। জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে সততার মূল্য অন্য সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আসলেই তাই পৃথিবীর কোনো কিছুই সততার মতো সমৃদ্ধ হতে পারে না। আমরা জানি সততা একটি মহৎ গুণ। তাই সৎ মানুষের কদর সবখানে। কিন্তু, অবাক লাগলেও বর্তমান সমাজে মানুষের সংখ্যা সম্ভবত সবচেয়ে কম। সততা নিয়ে এত কথা বলার একটাই কারণ, আজ বিশ্ব সততা দিবস। প্রতি বছরের ৩০ এপ্রিল দিবসটি পালন করা হয়। সততা দিবস উদযাপনের অন্যতম কারণ হলো মানুষকে সৎ হতে উদ্বুব্ধ করা।
ন্যাশনাল ডেইলিসের তথ্য অনুযায়ী, মেরিল্যান্ডের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি এম হির্শ গোল্ডবার্গ ১৯৯০-এর দশকে এ দিনটির প্রচলন করেন। তার ‘দ্য বুক অব লাইস: ফাইবস, টেলস, স্কিমস, স্ক্যামস, ফেকস অ্যান্ড ফ্রডস দ্যাট হ্যাভ চেঞ্জ দ্য কোর্স অব হিস্টোরি অ্যান্ড অ্যাফেক্ট আওয়ার ডেইলি লাইভস’ লেখার অংশ হিসেবে সততা দিবসের ধারণাটি মাথায় এসেছিল।
আজ সততা দিবস হলেও সততা কিন্তু একটি দিনে আবদ্ধ থাকার জন্য নয়। বরং সারাজীবন সৎ থাকতে এ দিনে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে পারি। সে প্রতিজ্ঞা হবে নিজের সঙ্গে। কারণ, সৎ হতে হলে অবশ্যই সবার আগে নিজের কাছে সৎ হতে হবে। আর কোনো ব্যক্তি যদি একবার সততার সত্যিকারের অনুভূতি খুঁজে পান তাহলে সততাকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে পারেন।
শেষ কথা, ৩০ এপ্রিল সততা দিবস। আর যেভাবেই দিবসটির প্রচলন হোক না কেন, আজ থেকে না হয় সততার পথে নতুন করে পথচলা শুরু হোক।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।