
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণকর্মীরা। ইসরায়েলি ত্রাণসহ বিভিন্ন সহায়তা অবরোধের মধ্যে দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬৩ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১১২ জনই শিশু। এছাড়া দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন গাজাবাসী নিহত এবং ৩৪৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যায় কমপক্ষে ৬২ হাজার চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া মোট আহত হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩০ জন।
মন্ত্রণালয় অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে নতুন পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১১২ জন শিশু।
আরওপড়ুন<<>>পুতিন-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের আয়োজনের কাজ চলছে: ট্রাম্প
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরী — এবং এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত — গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। ইসরায়েল এ শহর দখল করে হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক দক্ষিণে তথাকথিত কনসেন্ট্রেশন জোনে সরিয়ে নিতে চায়।
আল জাজিরাকে এক চিকিৎসা সূত্র নিশ্চিত করেছে, গাজা সিটির আল-সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক ইসলাম আল-কৌমিও রয়েছেন।
দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে অব্যাহতভাবে হামলা চলছে। হামলার মাত্রা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইসরায়েলের বর্তমান কৌশল গাজার ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত কাঠামো বদলে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল ভারি কামান, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করছে বাকি আবাসিক বাড়িগুলো ধ্বংস করার জন্য। ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা ভয়াবহ। এ সামরিক কৌশলই বলে দিচ্ছে যে ইসরায়েল সহজে স্থল অভিযান চালাতে পারবে এবং আবাসিক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। স্থানীয়রা বলছেন, দিন-রাত হামলা অব্যাহত রয়েছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।