Apan Desh | আপন দেশ

বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের আরাকান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী দল। যারা শরণার্থী শিবিরের মানবেতর পরিস্থিতি ও বসতভিটা হারানোর শোকে দেশটির চলমান গৃহযুদ্ধে অংশ নিতে চায়।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘের মতে, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন তারা। বর্তমানে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন জান্তা রোহিঙ্গাদের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। পাশাপাশি তাদের জাতীয়তার নিশ্চয়তাও দিচ্ছে।

রফিক (৩২) নামের এক রোহিঙ্গা বলেন, নিজের ভিটা ফিরে পেতে হলে আমাদেরই যুদ্ধে নামতে হবে। আবু আফনা নামের আরেক রোহিঙ্গা বলেন, টাকার জন্য যুদ্ধে নামিনি। জাতীয়তার জন্য নেমেছি।

তবে এ যুদ্ধে আরাকান আর্মি রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায় দ্বারা সমর্থিত। এর বিরুদ্ধে লড়াই সহজ নয়। আরাকান আর্মি মুসলিম রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে আক্রমণ করে থাকে।

এদিকে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের পরিস্থিতি খারাপ। এখানকার ক্যাম্পগুলোতে দাঙ্গা, আর্থিক সমস্যা ও বেড়ে ওঠা জঙ্গী সংগঠনগুলোর কারণে রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এ বছর আরএসও এবং আরসার মধ্যে সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, ক্যাম্পে বেড়ে চলা জঙ্গী তৎপরতা অনেক তরুণকে জঙ্গী সংগঠনগুলোর প্রতি আকৃষ্ট করছে। এমনকি ১৩ বছর বয়সী শিশুদেরও এসব সংগঠনে জোরপূর্বক নেয়া হচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান বলেন, ক্যাম্পের পরিস্থিতি অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই জঙ্গী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।

এদিকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে মিয়ানমারের অনাগ্রহের কারণে বাংলাদেশ সরকার বারবার বিরক্তি প্রকাশ করেছে। কিছু সরকারি কর্মকর্তা মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের নীতিগত সমর্থন জানাচ্ছেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনজুর কাদের বলেন, রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের সমর্থন করলে মিয়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মি সমঝোতায় বসবে।

আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো দ্রুত এ সংকটের সমাধান চাচ্ছে। নরওয়ের শরণার্থী কাউন্সিলের কর্মকর্তা ওয়েন্ডি ম্যাককেইন্স বলেছেন, স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ না পেলে রোহিঙ্গারা জঙ্গী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে। সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়