
ছবি: আপন দেশ
বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক। তারা হলেন- বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।
আমেরিকার বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেটা রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টারের (মেট্রিকস) গবেষক জন পি.এ. ইয়োনিডিস গবেষণা প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে এলসিভিয়ার জার্নালে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করে।
এতে গবেষকদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে সেরা গবেষকদের তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধ করে এ তালিকায় দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো- পুরো পেশাগত জীবনের ওপর, আরেকটি শুধু এক বছরের গবেষণা কর্মের ওপর।
গুগল স্কলারের তথ্য অনুযায়ী ড. মিজানুর রহমানের সাইটেশন সংখ্যা ৩০৮৬ টি এবং ড. হাবিবুর রহমানের সাইটেশন সংখ্যা ২৩৩৪টি।
আরওপড়ুন<<>>বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক
এ অর্জন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ২ গবেষকের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গা থেকে আমার নাম আসাটা সত্যিই অনেক আনন্দের ও গর্বের বিষয়। একই সঙ্গে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এবং আমার বায়োটেকনোলজি বিভাগের জন্যও আনন্দের বলেই আমি মনে করি। এটি কেবল আমার একার অর্জন নয়, আমার সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীদেরও অর্জন। আমি যেন এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন,বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পাওয়া শুধু আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্য একটি সম্মানের বিষয়। এটি প্রমাণ করে যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ থেকেও বিশ্বমানের গবেষণা করা সম্ভব। এ স্বীকৃতির জন্য আমি সর্বপ্রথম আমার আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আমার পরিবার, সহকর্মী, গবেষণা সহযোগী এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আরও উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করতে ভবিষ্যতেও গবেষণা কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
উল্লেখ্য, স্ট্যানফোর্ড–এলসেভিয়ার টপ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকা হলো- বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এক মানদণ্ড। যেখানে গবেষকদের অসাধারণ উদ্ধৃতি প্রভাব (citation impact) এবং দীর্ঘমেয়াদি অ্যাকাডেমিক অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে স্থান দেয়া হয়। এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি এবং এর আর্কাইভে ৭০ লাখের বেশি প্রকাশনা রয়েছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।