
ছবি: আপন দেশ
বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় বর্তমানে সুশাসন, অর্থনীতি ও নীতিগত সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন ও কার্যকর নীতি সংস্কার ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন জরুরি। বলেছেন, সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক, সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো এবং নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি, বাংলাদেশের আহবায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের বক্তৃতা মঞ্চে ‘উত্তরণে বাংলাদেশ: শাসনব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং নীতি সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (ডিএস) ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সংস্কারের জন্য প্রথমে চিন্তাগত দৃঢ়তা অর্জন করতে হবে। স্পষ্টভাবে সমস্যার জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং ধারণাগুলোকে বাস্তবায়নের পর্যায়ে নিতে হবে। এজন্য কাঠামোগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নীতিগত সমন্বয়, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা জরুরি। কোন কোন স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, সেটিও সুস্পষ্ট হতে হবে।
আরওপড়ুন<<>>যৌন হয়রানির অভিযোগে রাবি অধ্যাপককে অব্যাহতি
তিনি আরও বলেন, টেকসই সংস্কারের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অংশীজনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। বিনিয়োগে গতি আনতে হবে এবং সংস্কারকে সর্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গিতে এগিয়ে নিতে হবে। সংস্কার কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়, এটি একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। এজন্য সংস্কার জোটকে শক্তিশালী করতে প্রগতিশীল রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়া সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তব্যে খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে হলে সুশাসন ও নীতিগত সংস্কারকে যুগোপযোগী করতে হবে। উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে তুলতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কার্যকর অবদান রাখতে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর শেখ শারাফাত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. জোবায়ের হোসাইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা হক ও প্রভাষক আইরিন আজহার ঊর্মি।
সেমিনারের সভাপতি ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিন প্রধান ড. কাজী হুমায়ুন কবীরের সমাপনী বক্তব্য, কী-নোট স্পিকার ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের উপস্থিত শিক্ষক ও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারটি শেষ হয়।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।