
ছবি: আপন দেশ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, তরুণদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। কারণ তরুণ সমাজ মনে প্রাণে দেশকে ভালবাসেন। এর প্রমাণ আমরা জুলাই আন্দোলনে পেয়েছি।
তিনি বলেন, দেশে যখন বৈষম্যের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখনই এদেশের ছাত্রসমাজ একাত্তরের মতো চব্বিশেও জ্বলে ওঠে। তাদের নেতৃত্বে দেশের মানুষ ফিরে পায় স্বাধীনতার স্বাদ। ফলে সবাই বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছেন।
রোববার ( ২৭ জুলাই) বিকেলে ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের গর্জন’ শীর্ষক আন্তঃবিদ্যালয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুবি উপাচার্য। জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে খুলনা জেলা প্রশাসনের জুলাই উদযাপন প্রোগ্রাম কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপাচার্য বলেন, তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের কণ্ঠে যদি গণতন্ত্রের দাবি জোরালোভাবে উঠে আসে, তবে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্রে রূপ নিতে পারবে। আগামীতে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবেন, তাদের জন্য এটি একটি সংকেত, দেশের প্রয়োজনে তরুণরা কি কি করতে পারে।
আরওপড়ুন<<>>রাবিতে জালিয়াতি করে ভর্তি চেষ্টা, শিক্ষার্থী আটক
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের ডা. হুমায়রা মুসলিমা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, খুলনা মেডিকেল কলেজের ডা. শহিদুজ্জামান বাবলু ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীরা। স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আয়মান আহাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই বিপ্লবের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের গর্জন’ বিষয়ে আয়োজিত খুলনার ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক সচেতনতা এবং তরুণদের ভূমিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে সেন্ট জোসেফস স্কুল, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে খুলনা জিলা স্কুল এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীসহ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।