Apan Desh | আপন দেশ

শিক্ষার্থীদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা: সাফল্যের গোপন চাবিকাঠি

মো. রাফাসান আলম (রাবি প্রতিনিধি)

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ১৫ মে ২০২৫

শিক্ষার্থীদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা: সাফল্যের গোপন চাবিকাঠি

ফাইল ছবি

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক যুগে টিকে থাকতে হলে শুধু পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করলেই চলে না। একজন শিক্ষার্থীকে হতে হয় সময় সচেতন ও সুপরিকল্পিত। এ সময়েই গড়ে ওঠে ভবিষ্যতের ভিত্তি। আর সে ভিত্তি দৃঢ় করতে হলে প্রয়োজন সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা। এটি যেন শিক্ষার্থীদের জীবনে সাফল্যের এক অদৃশ্য চাবিকাঠি।

সময় ব্যবস্থাপনার মূল ধারণা—

সময় ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় নির্ধারিত সময়কে যথাযথ পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজে লাগানো। একজন সচেতন শিক্ষার্থী তার দৈনন্দিন কাজগুলো—পড়াশোনা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিনোদন ও বিশ্রাম এ সবকিছুর মাঝে ভারসাম্য বজায় রেখে সময়কে কাজে লাগায়।

কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?

১. সাফল্যের পথপ্রদর্শক:
সময় ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদেরকে পড়ালেখায় মনোযোগী রাখে এবং ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সঠিক সময়ে প্রস্তুতি নিতে পারলে শেষ মুহূর্তের চাপে পড়তে হয় না।

২. মানসিক চাপ হ্রাস:
বিশেষ করে পরীক্ষার সময়, পরিকল্পিত সময় ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।

৩. লক্ষ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন:
একজন সময় সচেতন শিক্ষার্থী জানে কোন কাজটি কখন করতে হবে। ছোট লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে বড় লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়।

৪. ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি:
সময় ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র পড়াশোনায় নয়, বরং শৃঙ্খলা, সংগঠিত চিন্তাভাবনা ও স্ব-নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ জীবনের গুণাবলি গঠনে সহায়ক।

৫. কর্মজীবনের প্রস্তুতি:
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই সময় ব্যবস্থাপনার অনুশীলন একজন শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতের চাকরি জীবনে সফল করে তোলে। সময় সচেতন কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে বেশি মূল্যায়িত হন।

কীভাবে সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করবেন?

১. প্রতিদিনের তালিকা তৈরি করুন: কোন কাজটি আগে করতে হবে, তা নির্ধারণ করুন।
২. অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন: জরুরি ও গুরত্বপূর্ণ কাজ আগে করুন।
৩. নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন: প্রতিটি কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করুন।
৪. বিশ্রামের গুরুত্ব দিন: কাজের মাঝে ছোট বিরতি নিন, যা মনকে পুনরায় সতেজ করবে।
৫. ডিজিটাল টুল ব্যবহার করুন: ক্যালেন্ডার অ্যাপ, টাস্ক ম্যানেজার ইত্যাদি সময় ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

সময় ব্যবস্থাপনার পথে ‘না’ বলতে শিখুন:

সবকিছুতে অংশ নেয়া সবসময় সম্ভব হয় না। অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে 'না' বলার মানসিক দৃঢ়তা অর্জন করতে হবে। এটি সময়ের অপচয় রোধ করবে। আপনাকে আরও ফোকাসড করে তুলবে।

সময় ব্যবস্থাপনা শুধু একটি অভ্যাস নয়, এটি একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সফলতার অন্যতম মূলভিত্তি। যারা সময়ের মূল্য বুঝে, তারাই ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে পারে। তাই এখনই সময়, সময় ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়