
ছবি: আপন দেশ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আনন্দঘন পরিবেশে দুই দিনব্যাপী মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিল ৯ কেজি ওজনের বিশাল মাছ।
শুক্রবার (০৪ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন লেকের (পুকুর নং-৩) পাড়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধীনস্থ মৎস্য খামার ছিল অনুষ্ঠানের আয়োজক। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার সভাপতিত্ব করেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।
মৎস্য খামারের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য খামার ইন-চার্জ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সৌখিন মৎস্য শিকারীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, অনেক দিন পর এমন আনন্দঘন পরিবেশে সুন্দরভাবে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হলো। আমি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ভবিষ্যতে প্রতিজন মৎস্য শিকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে অন্তত একটি করে ক্যাপ (টুপি) প্রদানের নির্দেশনা দেন তিনি। এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে আরও সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলেও উপাচে র্যের আশা।
আয়োজনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে এসেছে। তাছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীও রয়েছে। লটারির মাধ্যমে স্থান নির্ধারণের পর সেরা তিনজন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রায় নয় কেজির মাছ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে প্রায় আট ও সাত কেজির মাছ দেয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অনেক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছে। লেকের শান্ত পরিবেশে মাছ শিকার করার মজাই আলাদা। তাছাড়া এবারের আয়োজন খুবই চমৎকার ছিল। আয়োজকদের ব্যবস্থাপনার কোনো কমতি ছিল না। আগামীতেও অংশ নেয়ার ইচ্ছা আছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা চলে। এতে ৪২ জন সৌখিন মৎস্য শিকারী অংশগ্রহণ করেন। লটারির মাধ্যমে স্থান নির্ধারণের পর সেরা তিনজন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।