Apan Desh | আপন দেশ

‘মাছ শুধু বাণিজ্যিক পণ্য নয়- মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত’

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

‘মাছ শুধু বাণিজ্যিক পণ্য নয়- মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত’

ছবি: আপন দেশ

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, মাছ শুধু  বাণিজ্যিক পণ্য নয়-এটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।

সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি (ডব্লিউসিএস) এবং ওয়ার্ল্ড ফিশ আয়োজিত ‘সুস্থ সাগর (হেলদি ওশান)’ বিষয়ক ইনসেপশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, মৎস্য অধিদফতর-সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় কাজ করছে। অনেক সময় শুধু বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মাছ ধরা হয় কি না, সে দিকটিতে গুরুত্ব দিতে হবে। অথচ মানুষের খাদ্যের বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। 

আরও পড়ুন<<>>মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

ক্ষতিকর জালের ব্যবহারকে উপদেষ্টা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করেন। ফাঁস জাল, বেহেন্দি জালের মতো নিষিদ্ধ ও অননুমোদিত জালে বিভিন্ন আকারের মাছ ধরা পড়ে জালেই মারা যাচ্ছে-যা সামগ্রিক মাছের মজুদ কমিয়ে দিচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের গবেষণা জাহাজ Dr.Fridtjof Nansen-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সাত বছরে বঙ্গোপসাগরে মাছের প্রাপ্যতা প্রায় ৭৮ শতাংশ কমে গেছে। পাশাপাশি, অনেক অঞ্চলে সামুদ্রিক অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে এবং প্লাস্টিক দূষণের মাত্রাও ভয়াবহভাবে বাড়ছে। এসব খারাপ খবরের পাশাপাশি রয়েছে কিছু ইতিবাচক দিকও। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সাগরে নতুন আরও ৬৫ প্রজাতির মাছ শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৫ প্রজাতির মাছ এমন, যেগুলোর অস্তিত্ব এত দিন বিশ্বজুড়ে শনাক্ত হয়নি।

অতিরিক্ত আহরণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বড় বড় জাহাজ নিয়ে সমুদ্রে গিয়ে যা ইচ্ছা তা ধরার সুযোগ রাখা যাবে না-তাদেরকে অবশ্যই নিয়মের আওতায় আনতে হবে। আবার এমন অনেক মাছ ধরা হয় যা খাবার উপযোগী নয় -সেগুলো পুনরায় সাগরে ফেলে দেওয়া হয়, এতে সাগরের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই জালের ফাঁস নিয়ন্ত্রণ ও আহরণ পদ্ধতির উন্নয়ন অপরিহার্য।

বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক  মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিব-ইন-চার্জ) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমোডর শেখ মাহমুদুল হাসান এবং মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়