ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং দেশকে স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণে তার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তাকে এ সম্মানে ভূষিত করা হলো।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এ বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ৩৩৮ প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করেছিল। এর মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি ও ৯৪টি সংস্থা ছিল।
১৯০১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে মোট ১১৫টি। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি ১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে তিনবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে।
গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদানকায়ো। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, পরমাণু অস্ত্রমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টা এবং পরমাণু অস্ত্র আর কখনো ব্যবহার করা যে উচিত নয়, সেটি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য জাপানের সংগঠনটিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দফতর। প্রথমবার পায় ১৯৫৪ এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮১ সালে। এছাড়া, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২৭ স্বতন্ত্র সংস্থাও।
আরও পড়ুন<<>>ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে এবার ৬ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। এদিন, চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি যৌথভাবে ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সংক্রান্ত তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাপ্ত হন।
মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণার জন্য জন ক্লার্ক, মাইকেল ডেভোরেট এবং জন মার্টিনিসকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
ধারাবাহিকতা মেনে বুধবার ঘোষণা করা হয় রসায়নে নোবেলজয়ীর নাম। এবার রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমার এম ইয়াগি। ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক’ ডেভেলপের কারণে তাদের এ বছর রসায়নে নোবেল দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাইকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি। তার সম্পর্কে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন তার চিত্তাকর্ষক ও দূরদর্শী সৃজনকর্মের জন্য, যা মহাপ্রলয়ের ভয়াবহতার মধ্যেও শিল্পের শক্তিকে পুনর্ব্যক্ত করে।
সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক বিভাগের বিজয়ীদের একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা দেয়া হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































