প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি। গত দেড় দশকে অনিয়ম ও লুটপাটের কারণেই এ অঙ্ক এতটা বেড়েছে। এ বিশাল পরিমাণ অর্থ বর্তমান অর্থবছরের বাজেটের প্রায় সমান। এ টাকা দিয়ে প্রায় ২৩টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। অথচ, এ টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার হলে দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা যেত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট অনুসারে, এ বিপুল পরিমাণ ঋণের মধ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা এমন ঋণ যা নবায়ন করা হলেও পরে আবার খেলাপি হয়ে গেছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি বাড়ছে, সার্বিক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দীকি জানান, এ ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ ব্যাংকের মূলধনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফলে অনেক ব্যাংকের মূলধন ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন>>>বিশ্ববাজারে কমছে সোনার দাম
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, একটি ছোট অর্থনীতির জন্য এ বিশাল অঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ একটি দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করতে পারে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত সরকার পতনের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। যা বর্তমানে বেড়ে ৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এ বিপুল বোঝা বাংলাদেশকে বহু বছর ধরে বহন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক অপরাধ মোকাবিলায় জবাবদিহিতা ও কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
এ বিশাল ঋণ সংকটের পেছনে রয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋণ জালিয়াতি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেবল ঋণ জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নয়, বরং জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকও মনে করে, বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণও দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ঝুঁকি। এ ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করার জন্য সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।



































