Apan Desh | আপন দেশ

‌‘চট্টগ্রাম বন্দরে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আসছে’

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৫ জুলাই ২০২৫

‌‘চট্টগ্রাম বন্দরে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আসছে’

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক পরিবর্তন আসছে ৭ জুলাই। এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। 

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনায় সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী ছয় মাসের জন্য বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সে সঙ্গে এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।

শনিবার (০৫ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক স্ট্যাটাসে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।

উপ-প্রেস সচিব লিখেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক পরিবর্তন আসছে ৭ জুলাই। এদিন সাইফ পাওয়ারটেকের হাত থেকে ছয় মাসের জন্য বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ড্রাইডক লিমিটেড। চট্টগ্রামের নিউমুরিংয়ে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের পর থেকেই এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সাইফ পাওয়ারটেক। 

অভিযোগ রয়েছে, বন্দর ব্যবস্থাপনার নামে তারা এখানে বহুপাক্ষিক এক ম্যানেজতন্ত্র কায়েম করেছিল যা দুর্নীতির বিস্তার ঘটিয়েছে, কন্টেইনার জট তৈরি করেছে, দেশকে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছে ও দেশের ব্যবসা বানিজ্যের বিস্তারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

তিনি আরও লেখেন, আগামীকাল তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে যা অন্তর্বতীকালীন সরকার নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ছয় মাসের জন্য বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পাচ্ছে ড্রাইডক। সব স্বাভাবিক থাকলে বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক অপারেটরদের সংযুক্ত করা হবে। বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশী অপারেটরদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগের বিপক্ষে অপপ্রচার চলছে অনেক দিন ধরেই। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই এধরনের উদ্যোগ প্রথম নেয়নি। সৌদি আরব ভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের পাশেই পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে ৬ এপ্রিল ২০২৪ থেকে।

সব শেষ তিনি লেখেন, গতকাল বিজেএমই’র এক পরিচালক একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে দাবি করেছেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল সৌদি কোম্পানির হাতে যাওয়ায় বিভিন্ন চার্জ ‘কয়েকশ গুণ’ বেড়ে গেছে। আমরা বন্দর কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছি এই দাবি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। কথা বলেছি বিজেএমইর সঙ্গেও। ‘কয়েকশ গুণ’ চার্জ বেড়ে যাওয়ার কোনো তথ্য তারা দিতে পারেনি। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ব্যবস্থাপনায় গতি আসলে এর সবচাইতে বড় বেনিফিসিয়ারি হবে বিজেএমইর সদস্যরা। আমরা আশা করবো নিজেদের স্বার্থেই বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার থেকে তারা নিবৃত্ত থাকবেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়