Apan Desh | আপন দেশ

মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের যেসব করণীয়

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৪:৫৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের যেসব করণীয়

সংগৃহীত ছবি

ইসলামী শরী‘আহ অনুসারে, মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও করণীয় রয়েছে। এ কাজগুলো একদিকে যেমন মৃত ব্যক্তির পরকালীন জীবনকে সহজ করে, তেমনি জীবিতদের জন্যও সওয়াব অর্জনের পথ খুলে দেয়। নিচে এ করণীয়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো-

১. দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা

মৃত ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তার মাগফিরাত বা ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। পবিত্র হাদীসে এসেছে, যখন কোনো ব্যক্তি মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল এর ব্যতিক্রম:

  • সাদাকায়ে জারিয়া: এমন দান, যার সুফল দীর্ঘকাল ধরে মানুষ ভোগ করে।

  • উপকারী জ্ঞান: এমন জ্ঞান, যা থেকে মানুষ উপকৃত হতে থাকে।

  • নেককার সন্তান: এমন সন্তান, যে তার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করে।

আরেকটি হাদীসে বলা হয়েছে, মৃত্যুর পর যখন কোনো ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়, তখন সে আশ্চর্য হয়ে কারণ জানতে চায়। তখন তাকে বলা হয়, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। এ দোয়া মৃত ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করে।

তবে, মৃত ব্যক্তির জন্য কুলখানি, চল্লিশা, মীলাদ, চেহলাম, বা মৃত্যুবার্ষিকীর মতো প্রচলিত অনুষ্ঠানগুলো ইসলামে অনুমোদিত নয়।

২. মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দান করা

মৃত ব্যক্তির নামে বা তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ বা দান করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটি আমল। এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। আমার মনে হয়, যদি তিনি কথা বলতে পারতেন, তাহলে দান করতেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে দান করতে পারি? জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ, তুমি তার পক্ষ থেকে দান করতে পারো। এ হাদীস থেকে বোঝা যায়, মৃত ব্যক্তির নামে দান করলে সেই সওয়াব তার কাছে পৌঁছায়।

৩. ঋণ পরিশোধ করা

মৃত ব্যক্তির যদি কোনো ঋণ থাকে, তাহলে তার জীবিত আত্মীয়-স্বজনের জন্য তা দ্রুত পরিশোধ করা উচিত। ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ঋণের কারণে জান্নাতে প্রবেশও কঠিন হতে পারে, যদি না তা পরিশোধ করা হয়। তাই মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে প্রথমেই তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা কর্তব্য।

৪. মৃত ব্যক্তির বন্ধুদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা

মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা ও তাদের প্রতি সম্মান জানানোও একটি নেক কাজ। এটি মৃত ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানের একটি প্রকাশ। হাদীসে এসেছে, সবচেয়ে বড় নেকী হলো, কোনো ব্যক্তি তার পিতার মৃত্যুর পর তার বন্ধুদের সাথে ভালো ব্যবহার করা।

আপন দেশ/এমবি
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়