
মামুনুল হক।
দিল্লির দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে এখন ওয়াশিংটনের গোলামি করা যাবে না—এমন মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। শনিবার (০৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের এক মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পিন্ডির গোলামির শৃঙ্খল ভেঙেছিলেন। দিল্লির দাসত্বের জন্য নয়। আজ চব্বিশের জুলাইয়ের আন্দোলনের পরও আমরা বলি—আমরা নিউইয়র্ক বা ওয়াশিংটনের গোলাম হতে চাই না।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে মামুনুল বলেন, যদি হিউম্যানিটারিয়ান করিডরের নামে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বিদেশি প্রভাব বিস্তার করা হয়, তাহলে তা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ হবে। এ চক্রান্ত প্রতিহত করতে দেশবাসীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।
নারী বিষয়ক বিভিন্ন সংস্কারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নারী সংস্কারের নামে কোরআন-সুন্নাহকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। ধর্মীয় উত্তরাধিকার ও পারিবারিক বিধানকে বৈষম্য হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হচ্ছে।
তিনি নারী কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, তথাকথিত নারীবাদীরা পশ্চিমা আদর্শে বিশ্বাসী। আমরা আল্লাহর দেয়া নারীর ন্যায্য অধিকারকে সমর্থন করি, পশ্চিমা মতাদর্শ নয়।
বাংলাদেশের সংবিধান নিয়েও বক্তব্য দেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর রাষ্ট্রীয় সংস্কার শুরু হয়েছে। এ সংস্কারের নামে বহুত্ববাদ ও একত্ববাদবিরোধী মতবাদ চাপিয়ে দেয়া হলে বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না। আমরা সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।
ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা বিনয়ের সঙ্গে বহুবার অনুরোধ করেছি, আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে করা মামলা প্রত্যাহার করুন। কিন্তু কাজ হয়নি। মনে হচ্ছে সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না। যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হয়, তাহলে হেফাজতের নেতাকর্মীরা যা করার দরকার, তাই করবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।