
ছবি: আপন দেশ
কৃষিবিদদের জাতীয় সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এ বিক্ষোভ করেছেন কৃষিবিদরা। তাদের দাবি, কেআইবির প্রশাসক আব্দুর রব খানের অপসারণ, একতরফাভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশন ও ঘোষিত তফসিল বাতিল করতে হবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর খামারবাড়ি সড়কে অবস্থিত কেআইবি কমপ্লেক্সের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল খামারবাড়ি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে বক্তারা প্রশাসকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বলেন, বর্তমান প্রশাসক দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। তিনি নিজের পছন্দের লোকদের অনিয়মভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। যা কেআইবির বিধি-বিধানের পরিপন্থি। বক্তারা কেআইবির স্বার্থে তার অপসারণ দাবি করেন।
অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর উদ্যোগে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে এ্যাবের আহবায়ক কামরুজ্জামান কায়সারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন বিপ্লবের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কেআইবির সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ ইব্রাহিম খলিল, এ্যাবের সাবেক আহবায়ক কৃষিবিদ আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলা ও রাশিদুল হাসান হারুন, সাবেক সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, এ্যাবের যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত হোসেন চঞ্চল, অধ্যাপক আবুল বাশার ও শফিকুল ইসলাম শফিক ও সদস্য অধ্যাপক জমশেদ আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন>>>রাবির ইতিহাসের নিয়োগ বোর্ড বাতিল চেয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ
ইব্রাহিম খলিল বলেন, সাধারণ সভা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। এ কমিশনের দায়িত্ব নেয়া ব্যক্তিদের পদত্যাগ করা উচিত।
কৃষিবিদ আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলা বলেন, আমি কেআইবির নির্বাচিত মহাসচিব ছিলাম। আমার সময়ের সভাপতির কোনো মতামত না নিয়েই প্রশাসক কমিশন গঠন করেছেন। অথচ একটি সাধারণ সভা ডেকে বা সাবেক সভাপতি ও মহাসচিবদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। আমরা নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু সব প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক।
রাশিদুল হাসান হারুন বলেন, কেআইবির মর্যাদা ও ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে প্রস্তুত।
শাহাদাত হোসেন চঞ্চল অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট ও মৌলবাদী একটি সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এটি বাতিল না করা হলে প্রশাসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, বর্তমান প্রশাসক কৃষিবিদদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একতরফাভাবে আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে বসে অবৈধ কাজ করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে এ প্রশাসকের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এর বিচার হতেই হবে। আমরা সিনিয়র কৃষিবিদদের নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবো। এর আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। কোনো অনিয়ম আমরা মেনে নেবো না।
কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লব বলেন, প্রশাসক সিনিয়র কৃষিবিদদের মতামত ছাড়াই নিজের ইচ্ছেমতো নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এতে রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছু নয়।
বর্তমানে সংগঠনটিতে প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য রয়েছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।