
ছবি : আপন দেশ
চব্বিশের জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রাফিউল ও আনোয়ার নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
একইসঙ্গে পলাতক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৪ আসামির বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দু’টি জাতীয় দৈনিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
এর আগে আবু সাঈদ হত্যায় তৎকালীন ভিসি হাসিবুরসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় তদন্ত শেষ করে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গত বছরের ১৬ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।
এদিকে আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় পলাতক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ফেরত দিতে দু’দিনের সময় চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সে সঙ্গে আগামী ১৬ জুলাই পলাতকদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২ জুলাই আশুলিয়ায় গণহত্যা ও ৬ জনের লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সে সঙ্গে ওইদিন পলাতক সাবেক এমপি সাইফুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আলোচিত এ মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এ এফ এম সায়েদ (রনি), ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দীন, সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক, সাবেক উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা, সাবেক উপপরিদর্শক কামরুল হাসান ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বাইরে আরও একজন গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে একজনকে জীবিত ও পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় প্রথমে একটি ভ্যানে তোলা হয়। এরপর সেখান থেকে পুলিশের একটি গাড়িতে তাদের তুলে পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের গাড়িতে এ ছয়জনকে (যার মধ্যে একজন জীবিত) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ওই সময় যারা শহিদ হয়েছেন, তারা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি ও আবুল হোসেন। এছাড়া একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি (অজ্ঞাত)।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।