Apan Desh | আপন দেশ

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের প্রশাসক অপসারণের দাবি এ্যাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের প্রশাসক অপসারণের দাবি এ্যাবের

ছবি: সংগৃহীত

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর প্রশাসক মো. আব্দুর রব খানের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণ চায় এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাইদুর রহমান খানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ দাবি জানায় সংগঠনটির নেতারা।
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাকক্ষে এ বৈঠকটি হয়। 

বৈঠকে এ্যাবের আহ্বায়ক ড. কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, বর্তমান প্রশাসক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তার মেয়াদ শেষ হলেও ফের বহালের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি সাধারণ কৃষিবিদরা মেনে নিতে পারছেন না।
বৈঠকে মহাপরিচালক সাইদুর রহমান খান জানান, বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সিনিয়র কৃষিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেন, সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসকের মেয়াদ বৃদ্ধির কোনো আদেশ জারি করা হবে না।

মহাপরিচালক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কোন সংস্থার প্রশাসক নিয়োগের এখতিয়ার সমাজ সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালকের। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে  উপদেষ্টা-সচিব দেখছেন। ফলে আমার কিছুই করণীয় নেই। এতে আমার কোন দায়ও নেই। 

বৈঠকে এ্যাবের সদস্য শাহাদত হোসেন বিপ্লব বলেন, প্রশাসক নিয়োগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন শেষে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি। বরং তিনি অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও মেরামতের নামে অর্থ অপচয় করছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ থাকলেও প্রশাসক তা এড়িয়ে গিয়ে লাভজনক কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, সমাজসেবা অধিদফতরের নির্দেশনায় প্রশাসক কোনো উন্নয়নকাজ, নিয়োগ বা চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কিন্তু এসব নিয়ম অমান্য করে তিনি নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছেন। কেআইবির উন্নয়ন খাতে স্বাভাবিক ব্যয়ের তুলনায় তিনগুণ পর্যন্ত বিল দেখানো হয়েছে। শুধু সাব-স্টেশন মেরামতের বিলই ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করেন, প্রশাসক নিজের ঘনিষ্ঠ পাঁচজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন এবং নিয়ম ভঙ্গ করে স্থায়ী কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করেছেন। তার বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা মিলিয়ে মাসে প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়। এমনকি অডিটর নিয়োগেও তিনি এককভাবে ৮ লাখ টাকার চুক্তি করেছেন, যা নিয়মবহির্ভূত। সদস্যদের চাপের মুখে নির্বাচন আয়োজনের আশ্বাস দিলেও প্রশাসকের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার রাজধানীর খামারবাড়ি কেআইবি কমপ্লেক্সের সামনে কৃষিবিদরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই প্রশাসক আব্দুর রব খান স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি কৃষিবিদদের মতামত উপেক্ষা করে নিজের পছন্দের ও রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দিয়ে কমিশন গঠন করেছেন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ:

সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি আ.লীগের ৪৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে রায় ১৭ নভেম্বর, মানবতাবিরোধী অপরাধ নতুন কুঁড়ির বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার দিলেন প্রধান উপদেষ্টা খেলোয়াড়রা সহযোগিতা না করলে নিরপেক্ষতা হারাবে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে ট্রাকে আগুন মার্কিন ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউনের অবসান ঘটল শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু রাজপথের আ. লীগ অধিক শক্তিশালী-জনপ্রিয়: রিচি সোলায়মান