
ফাইল ছবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ টানা প্রায় তিন মাস। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দাবিতে অনড়। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ করে সিন্ডিকেট। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে পাঁচ দফা দাবি তোলে। দাবি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ চেয়ে উপাচার্যের ভবনের পাশে অবস্থান নেয় তারা।
নতুন উপাচার্য ড. মো. হযরত আলী দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহবান জানান। তার অনুরোধে আপাতত আন্দোলন স্থগিত হলেও দাবি থেকে সরে আসেননি শিক্ষার্থীরা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, সিন্ডিকেটে ৩৭ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। শিক্ষা উপদেষ্টা আসার কারণে এটা ১০২তম সিন্ডিকেটে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ভিসি আসার পর সে জিনিসটা রিওপেন করেন। আমাদের সঙ্গে আসলে একটা ইনজাস্টিজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>>মাদক সেবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেত্রী বহিষ্কার
অপরদিকে, শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির দেয়া ৭ দিনের আলটিমেটাম শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। দাবি আদায় হলে রোববার ক্লাসে ফিরবেন তারা। আর না হলে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা শিক্ষকদের।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ৭ কর্মদিবসের মধ্যে, আমাদের যে দাবিগুলো আমরা উপস্থাপন করেছিলাম যে যারা প্রকৃত দোষী তাদের বিচার, এটা যদি না হয় বা প্রত্যাহার হয় তখন আমাদের বলা আছে যারা ডিন, প্রভোস্ট, মানে যারা শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন দাপ্তরিক দায়িত্বে আছেন তারা অসহযোগে যাবে। প্রশাসনের সাথে কোনো ধরনের কাজে যাবে না।
এদিকে শিগগরিই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা নতুন উপাচার্য ড. মো. হযরত আলীর। তিনি বলেন, সবাই আপন আপন দাবিতে অনড়। যার কারণে সময়টা একটু বেশি লাগছে। আশা করি, একদিন না একদিন তো স্যারেরা ক্লাস নেবেন, ছাত্ররাও ক্লাসে যাবেন। তবে এটার অ্যাক্সেক্ট ডেট আমার কাছে নাই।
প্রথমদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্লাস বন্ধ ছিল প্রায় আড়াই মাস। এরপর নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর গত ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর কথা ছিল। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনে তা আর হয়নি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।