ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। এমনটা পাঠ্যবইয়ে পড়ে এসেছি বা বর্তমানে দেখছি। রাশিয়া, আমেরিকা, চীন, ভারতসহ অনেক দেশ তাদের শিক্ষার মানের ভিত্তিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যা দেশের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হচ্ছে।
বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় উঠে গেছে পরীক্ষা নামক শব্দ। বই থেকে তথ্যবহুল লেখা উঠে গিয়েছে ছকের মাধ্যমে। বই এখন খাতায় পরিণত হয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগে শিক্ষাব্যবস্থা তুলনামূলক ভালো ছিল।
কিন্তু এখন কি শিখছে এ প্রশ্নে জবাব দিতে হচকিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতে হতাশায় শিক্ষার্থীদের।
দিনাজপুরের সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রাহাত চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রথমত করোনায় আমরা পিইসি বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। করোনা শেষে বোর্ড পরীক্ষা জেএসসি তুলে দেয়ায় সেটা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের মেধা যাচাইয়ের সুযোগ কোথায়? আমরা ২০২৬ এর এস.এস.সি ব্যাচ। আমাদের নতুন কারিকলামের অবস্থা অত্যন্ত বাজে। শিক্ষকরাই ঠিকভাবে বুঝতে অক্ষম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক উচ্চ মানের এসাইনমেন্ট করতে দেয়, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ের এসাইনমেন্ট দেয়। বেশিরভাগ সময়ে বইয়ে তথ্য পাইনা। নিজেদের’কে ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করতে হয়। তাহলে শুধু শুধু সরকারি বইয়ে এত এত ছক দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়ানোর কি দরকার? আর পরীক্ষার হলে যে বই নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি এটারই যৌক্তিকতা কী?
অপরদিকে চাকরির ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে হয় বাংলা, ইংলিশ, সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা দিয়ে। এখানেও মেধা হেরে যাচ্ছে কোটা নামক শব্দের কাছে। পূর্বে ৩০ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে সেটি ৫৬ শতাংশ করা হয়েছে।
এ জন্য নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নেমেছে কোটি শিক্ষার্থী। তাদের ন্যায্য দাবি সরকার মেনে নেবে এমন আশায় শিক্ষাঙ্গানে 'বাংলা ব্লকেড' শুরু করেছেশিক্ষার্থীরা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শোয়াইব বিন আছাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা যেদিকে যাচ্ছে ভবিষ্যতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার দিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ দিকে তো গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করে বেকারত্বের অভিশাপ। তার উপরে কোটায় বৈষম্যের কারণে চাকরির অনিশ্চয়তা। তাই মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে, কোটা বাতিল এখন সময়ের দাবি।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের লক্ষ্য থাকে লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকরির। অপর্জন করে পরিবারকে সাপোর্ট দেয়ার। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট আমাদের একেবারে নিরাশ করে দিয়েছে। চলমান সংকট নিরশনে সরকারকে যৌক্তিক সমাধান বের করতে হবে। মেধার মূল্যয়ন ঘটাতে হবে। এমনটি আশা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































