Apan Desh | আপন দেশ

গবেষণা প্রতিবেদন

ট্যানারির ৪৩ শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পায় না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ৪ মে ২০২৪

আপডেট: ১৬:০৭, ৪ মে ২০২৪

ট্যানারির ৪৩ শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পায় না

ছবি: সংগৃহীত

ট্যানারি শিল্পে কাজে নিয়োজিত ৪৩ শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পায় না। গবেষণায় অংশগ্রহকারী অধিকাংশ শ্রমিকই বলেন, নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি সম্পর্কে তারা জানেন না। শনিবার (৪ মে) ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ বিষয়ে অনুষ্ঠান হয়। এতে গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

এ সময় মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে বর্তমানে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খরচ অনেক বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ট্যানারি বা চামড়া খাতের শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি। তবে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি শিল্পের মালিকরা বলছেন, এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ। এতে তিনি জানান, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্যানারি বা চামড়াখাতের একজন শ্রমিকের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মাসে ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা। আর খাদ্যবহির্ভূত খরচ ১২ হাজার ৯১৪ টাকা। প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারের গড়ে সদস্য সংখ্যা ৪.৬ জন। এর মধ্যে উপার্জনক্ষম সদস্য ১.৫ জন। সেই হিসাবে শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা।

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নানা সময়ে চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা কম হয়। সুতরাং মজুরি বাড়লে এ খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি।

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক বলেন, সিপিডির প্রস্তাবটি তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলেনি। তবু সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ খাতের সার্বিক অবস্থা উঠে এসেছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি মালিকপক্ষ ও মজুরি বোর্ডের কাছে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়া খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিডির এমন প্রস্তাবনা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কারণ, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিপরীতে রফতানিতে চামড়ার ইউনিট মূল্য কমেছে। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি মজুরি নির্ধারণ করা হলে সেটি বিবেচনায় নেয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।

ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, বোর্ডে আলোচনা করে দেখা হবে মজুরি কতটা বাড়ানো সম্ভব। যাতে শিল্প টিকে এবং শ্রমিকেরাও বেঁচে থাকেন সেটি বিবেচনায় রেখে বাস্তবায়নযোগ্য একটি বেতন কাঠামো দেয়ার চেষ্টা করা হবে।

সিপিডির প্রস্তাবনায় ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য মোট পাঁচটি গ্রেডে মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম গ্রেডের জন্য ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা, প্রথম গ্রেডের জন্য ৩৯ হাজার ২৭০ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়