
সংগৃহীত ছবি
আগুনে পোড়া একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া খুব জরুরি। ভুল চিকিৎসায় ক্ষতি আরো বাড়তে পারে। তাই চিকিৎসকদের মতে, অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির যত্নে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন, জেনে নিই এ অবস্থায় যা করবেন।
যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা পানি ঢালুন
আগুনে পোড়া শরীরের অংশে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা পানি ঢালতে হবে। একটানা ১০-১৫ মিনিট। বিরতি দিয়ে আধা ঘণ্টা পর্যন্ত পানি ঢাললে ত্বক ঠাণ্ডা হয়, ব্যথা কমে ও পোড়ার ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব হয়।
পোশাক খুলে ফেলুন, পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন
পোড়া অংশ থেকে পোশাক সরিয়ে ফেলুন (যদি তা ত্বকে লেগে না যায়)।
এরপর জীবাণুমুক্ত পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এসিডে দগ্ধ হলেও একই পদ্ধতিতে যত বেশি সম্ভব পানি ঢালুন।
স্যালাইন প্রয়োগ করুন (বিশেষ ক্ষেত্রে)
শিশুর শরীরের ১০% বা বড়দের ১৫% পুড়ে গেলে দ্রুত স্যালাইন দিতে হবে।
– হার্টম্যান সলিউশন বা নরমাল স্যালাইন ব্যবহার করা যায়।
– অ্যাকুয়া স্যালাইন একেবারেই দেওয়া যাবে না।
– স্যালাইন না থাকলে স্প্রাইটে সামান্য লবণ মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
– এরপর রোগীকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করুন।
যা করবেন না
কোনো মলম বা ঘরোয়া উপাদান লাগাবেন না
ডিমের কুসুম, মধু, টুথপেস্ট, দই, বরফ ইত্যাদি কিছুই পোড়া ত্বকে লাগানো যাবে না। এতে ত্বকের তাপ আটকে গিয়ে ক্ষতি আরো বাড়ে।
কম্বল জড়িয়ে আগুন নেভাবেন না
শরীরে আগুন লাগলে কম্বল জড়িয়ে আগুন নেভাতে গেলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ে। আগুন ভিতরে আটকে গিয়ে ত্বকের গভীরে পুড়ে যায়। বরং পানি ঢালুন বা দ্রুত আগুন থেকে দূরে সরান।
কী করবেন পরবর্তী সময়ে?
– পোড়া রোগীকে সিলভার সালফা ডায়াজিন ক্রিম দিয়ে ড্রেসিং করুন।
– পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখুন।
– পানি, শর্করা ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দিন।
– প্রয়োজন হলে দ্রুত বার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. সামন্ত লাল সেন, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
আপন দেশ/এমবি