 
										ছবি : সংগৃহীত
দেশে তীব্র দাবদাহ চলমান। এর মধ্যে পূর্ব সুন্দরবনের গহীনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাতভর আগুনে পুড়েছে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকা। অবশেষে রোববার (৫ মে) সকাল ৮টায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট অগ্নিনির্বাপনের কাজ শুরু করেছে। গ্রামবাসীও আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিয়েছেন।
ইতোমধ্যে প্রায় তিন কিলোমিটারের বেশি এলাকায় আগুন ছড়িয়েছে। সর্বশেষ এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।
শনিবার বিকেলে সুন্দরবনের গহীনে আগুন লাগে। বন বিভাগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সন্ধ্যায় পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেনি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বন বিভাগ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সেখানে ছুটে যায়। গতকাল সন্ধ্যা হওয়ায় আমরা কর্যক্রম শুরু করতে পারিনি। সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটে তৈরি আছে। তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করছে। নৌবাহিনী, বন বিভাগ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রাশাসন সবাই আগুন নির্বাপনের কাজে সহায়তা করছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, রোববার সকাল ৮টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ভোলা নদী থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। যে সব স্থানে আগুনের ধোঁয়া ও কুণ্ডলী দেখছে সেখানে পানি ছেটানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন <> সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ রোববার শুরু
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বনবিভাগ ও গ্রামবাসী আগুন নেভাতে কাজ করছে। কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি না নির্বাপণ পর্যন্ত তারা কাজ করবে।
এদিকে, আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, তাদের ধারণা, আগুন লাগছে অন্তত দুই দিন আগে। ঘটনাস্থল বন বিভাগের অফিস থেকে বেশ দূরে। ওই এলাকায় বাঘসহ বন্য প্রাণীর উপস্থিতি অনেক বেশি। তাই মানুষের প্রবেশ কম। এজন্য খবর পেতে দেরি হয়েছে।
আগুন লাগা এলাকায় মূলত বলা, সুন্দরী, বাইন, গেওয়া, জিন, সিংড়াসহ বিভিন্ন ধরনের লতাগুল্মজাতীয় গাছ বেশি। এরই মধ্যে বেশ কিছু বলা গাছ পুড়ে গেছে।
আপন দেশ/এমআর/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































