ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
টানা হামলা-পাল্টা হামলায় ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ। সামরিক প্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ইরানি হাইপারসনিক মিসাইলের আঘাতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের তৈরি 'ফাতাহ-১' নামের এ অত্যাধুনিক মিসাইল আয়রন ডোমকে ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে—যা মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইরানি সূত্র দাবি করেছে, ‘ফাতাহ‑১’ নামে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।
ইরান ও ইসরায়েলর মধ্যে চলমান যুদ্ধে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ইরানের ‘ফাতাহ-১’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে আয়রন ডোম টিকতে পারেনি। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৪০০ কিলোমিটার। এটি কম উচ্চতায়ও উড়তে পারে।
ইসরায়েল জানায়, বেশিরভাগ মিসাইল তারা প্রতিহত করেছে; তবু কয়েকটি প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে তেল আভিভ ও হাইফায় আঘাত হানে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হন।
ডিফেন্স বিশ্লেষক মাইকেল শোয়েব্রিজ বলেন, সামগ্রিকভাবে আয়রন ডোম ভেঙে পড়েনি। কিন্তু হাইপারসনিক‑লো‑অ্যালটিটিউড হুমকি ঠেকানোয় স্পষ্ট দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে ইরানের সামরিক বিশ্লেষক রেজা নাদিমি জানান, ফাতাহ‑১ রাডার‑বঞ্চনাকারী নকশা ও গতি দিয়ে ইসরায়েলকে নতুন সমীকরণে ফেলে দিয়েছে।
ইসরায়েল দ্রুত অতিরিক্ত ডেভিড’স স্লিং ব্যাটারি মোতায়েন ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্যাট্রিয়ট পিএসি‑৩’ সহায়তা পাচ্ছে। ইরান ঘোষণা দিয়েছে, আগ্রাসন বন্ধ না হলে আরও বৃহত্তর পাল্টা আঘাত তৈরি আছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, হাইপারসনিক মিসাইল ঢোকায় আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়েছে। ডি‑এস্কেলেশন ব্যর্থ হলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা কাঠামো নড়বড়ে হতে পারে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































