Apan Desh | আপন দেশ

রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে লন্ডনের বৈঠকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ১০ জুন ২০২৫

আপডেট: ০১:৪৪, ১০ জুন ২০২৫

রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে লন্ডনের বৈঠকে

ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তারেক রহমান

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ফয়সালা হতে পারে লন্ডনে। এ সময়ে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন লন্ডন সফরত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে।

বিএনপি দলীয় সূত্র জানিয়েছে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। আর ওই বৈঠকে দেশের বিরাজমান সংকটের সমাধান হবে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

আজ সোমবার (০৯ জুন) দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও গুরুত্ব পাবে নির্বাচন ইস্যু। স্থায়ী কমিটি থেকে এ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাবনা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও সংস্কার ইস্যুতে তৈরি কিছু জটিলতারও সমাধান আসতে পারে এ বৈঠকে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন।

এদিকে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

গত ৪ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এই সফর সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সফরকালে অধ্যাপক ইউনূস কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন। তিনি ১১ জুন রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, চ্যাথাম হাউসে একটি বিশেষ ভাষণ দেবেন।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দেশটির বৃহত্তম প্রবাসী জনগণের আবাসস্থল।

ড. ইউনূসের এই সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক নতুন করে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের। সেইসাথে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো ক্ষেত্রগুলো আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জুন সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়