
ছবি: আপন দেশ
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাবো। এ মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আমাদের ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না হলে সবকিছু আগের মতোই থেকে যাবে।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর প্রেসক্লাবে ‘জুলাই কারাবন্দীদের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনায় তিনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও নিজের ওপর নির্যাতনের স্মৃতিচারণ করেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ডিবি কার্যালয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। মেট্রোরেলের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হয়। আমাকে মারধর করে ইনজেকশন দেয়া হয়। ছাত্রলীগ কোটা পাওয়া কিছু সদস্য ক্ষোভে ফুটবলের মতো লাথি মারে। এমন অবস্থায় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের ওপর কী নির্যাতন হয়েছে, তা সহজেই বোঝা যায়।
আরও পড়ুন>>>আ. লীগ শাহী চাঁদাবাজ, বিএনপি ছ্যাঁচড়া চাঁদাবাজ: ফয়জুল করীম
তিনি শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পেছনে নিজেদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরাই পথ তৈরি করেছি। তিনি অনেক প্রলোভন দিয়েছেন, কিন্তু আমরা আপস করিনি। নুর সংবিধান সংস্কার, ক্ষমতার ভারসাম্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে দলীয় প্রস্তাবনাগুলোর কথাও পুনরুল্লেখ করেন। এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না—এ নীতিগত অবস্থানে আমরা অটল।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, শুধু শেখ হাসিনা দিল্লি গেছেন—সরকারের কাঠামো ও ক্ষমতার বলয় আগের মতোই রয়েছে। এখনও পুলিশ, প্রশাসন, সচিবালয়ে আওয়ামী প্রভাব স্পষ্ট।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা এক বছরে শেখ পরিবারের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি, তারা কীভাবে গণহত্যার বিচার করবে?
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিশ্বের বহু গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, সেটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। তিনি ২০১৮ সালের আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর অনীহাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী। সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, আবু হানিফ, অ্যাড. খাদেমুল ইসলাম, অ্যাড. মমিনুল ইসলাম, অ্যাড. হাবিবুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, রোকেয়া জাবেদ মায়া প্রমুখ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।